By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept
আমার জানালা
0

No products in the cart.

Notification Show More
Latest News
Ddua yunus Bangla
Ddua yunus Bangla – দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম ও উপকারিতা
August 4, 2022
Dua masura
Dua masura এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
July 31, 2022
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2022
July 28, 2022
Dua yunus bangla
Dua yunus bangla – দোয়া ইউনুস এর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সমূহ
July 27, 2022
Tashahhud bangla
Tashahhud bangla – তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও আঙ্গুল নাড়ানোর সঠিক নিয়ম
July 22, 2022
Aa
  • সাপ্তাহিক চাকরির খবর
  • চাকরির খবর
    • বেসরকারি
    • সরকারি
  • ইসলাম
    • দোয়া
  • শিক্ষা
    • অনুচ্ছেদ
  • নিখোঁজ সংবাদ
Reading: ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার কিভাবে করবেন? ইস্তেগফার এর ফজিলত
Share
আমার জানালাআমার জানালা
0
Aa
  • সাপ্তাহিক চাকরির খবর
  • চাকরির খবর
  • ইসলাম
  • শিক্ষা
  • নিখোঁজ সংবাদ
Search
  • সাপ্তাহিক চাকরির খবর
  • চাকরির খবর
    • বেসরকারি
    • সরকারি
  • ইসলাম
    • দোয়া
  • শিক্ষা
    • অনুচ্ছেদ
  • নিখোঁজ সংবাদ
Have an existing account? Sign In
Follow US
আমার জানালা > Blog > ইসলাম > দোয়া > ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার কিভাবে করবেন? ইস্তেগফার এর ফজিলত
ইস্তেগফার কি
দোয়া

ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার কিভাবে করবেন? ইস্তেগফার এর ফজিলত

amarjanala
amarjanala April 7, 2022
Updated 2022/08/02 at 12:48 AM
Share
SHARE

ইস্তেগফার কিভাবে করবেন?ইস্তেগফার এর ফজিলত এবং ৫টি ইস্তেগফারের দোয়া ও সর্বশ্রেষ্ট ইস্তেগফার জেনে নিন।

ইস্তেগফার কি?

ইস্তেগফার শব্দের অর্থ ক্ষমা চাওয়া, আর তাওবা হলো আল্লাহর পথে ফিরে আসা। ২ টি শব্দের অর্থ প্রায় কাছাকাছি।

ইস্তেগফারের ফজিলত ও ইস্তেগফার সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশঃ

ইস্তিগফার সম্বন্ধে কোরআনে আছে,

 فَقُلۡتُ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ غَفَّارًا ﴿ۙ۱۰﴾

Contents
ইস্তেগফার কি?ইস্তেগফারের ফজিলত ও ইস্তেগফার সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশঃতওবা (ইস্তেগফার)তওবা (ইস্তেগফার) সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে,কিভাবে ইস্তেগফার করবেন?ইস্তেগফার করার বা ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ।ইস্তেগফার দোয়া-১: সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফারইস্তেগফার দোয়া-২:ইস্তেগফার দোয়া-৩:ইস্তেগফার দোয়া-৪:ইস্তেগফার দোয়া-৫: সাইয়েদুল ইস্তিগফারসাইয়েদুল ইস্তিগফার মূল আরবীঃ সাইয়েদুল ইস্তেগফার উচ্চারণঃসাইয়েদুল ইস্তেগফার অনুবাদঃশ্রেষ্ঠতম ইস্তিগফার আল্লাহর বাণীঃহাদীস: ৬৩০৬.ইস্তেগফারের উপকারিতা :

অতঃপর বলেছি, তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল,(সুরা-৭১ নূহ, আয়াত: ১০)

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ﴿ۙ3﴾

‘তখন তুমি তোমার পালনকর্তার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা কর এবং তাঁর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বাধিক তওবা কবুলকারী’।
(সুরা-১১০ নাসর, আয়াত: ৩)

وَ مَا کَانَ اللّٰهُ لِیُعَذِّبَهُمۡ وَ اَنۡتَ فِیۡهِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰهُ مُعَذِّبَهُمۡ وَ هُمۡ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ ﴿۳۳﴾

‘আর আল্লাহ এমন নন যে, আপনি তাদের মধ্যে থাকবেন অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং আল্লাহ এমনও নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন।’ (সুরা-৮ আনফাল, আয়াত: ৩৩)

এখানে কারা ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করবে এ ব্যাপারে দুটি মত রয়েছে। কোন কোন মুফাসসির বলেনঃ এখানে কাফেরদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কারণ তারা উক্ত কথা বলার পরে লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে তারা কাবা ঘরের তাওয়াফ করার সময় বলত, ‘গোফরানাকা, গোফরানাক’। [আইসারুত তাফসীর] অথবা, তাদের মাঝে ঐ সমস্ত লোকদেরকে এ আয়াতে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যারা ঈমান আনবে বলে আল্লাহ তা’আলা তার ইলমে গায়েবে নির্ধারিত করেছেন। [ইবন কাসীর]

বিশেষ সতর্কতাঃ প্রায় সবাই যে গুনাহের মধ্যে লিপ্ত, সংক্ষেপে বিস্তারিত বুঝতে আর্টিকেলের ভিডিওটি দেখুন. হুমাযাহ ও লুমাযাহ কি? এবং কারা? 😥

তওবা (ইস্তেগফার)

তওবা অর্থ হলো ফিরে আসা। মানুষ যখন ভুল পথে যায় বা বিপথগামী হয়, তখন সেখান থেকে সঠিক পথে বা ভালো পথে ফিরে আসাকে তওবা বলা হয়।

তওবার পারিভাষিক অর্থ হলো লজ্জিত হওয়া। অর্থাৎ স্বীয় কৃতকর্মে লজ্জিত হয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবার জন্য করণীয় হলো, স্বীয় কৃতকর্মের প্রতি লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া, সেই অপরাধ আর না করার দৃঢ় প্রত্যয় ও সংকল্প গ্রহণ করা এবং নেক আমলের প্রতি বেশিমাত্রায় মনোযোগী হওয়া।

তওবা (ইস্তেগফার) সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا ؕ عَسٰی رَبُّکُمۡ اَنۡ یُّکَفِّرَ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ یُدۡخِلَکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ ۙ یَوۡمَ لَا یُخۡزِی اللّٰهُ النَّبِیَّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَهٗ ۚ نُوۡرُهُمۡ یَسۡعٰی بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ بِاَیۡمَانِهِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَتۡمِمۡ لَنَا نُوۡرَنَا وَ اغۡفِرۡ لَنَا ۚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۸﴾

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, নবী ও তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’

আল-বায়ান(সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে মানব সকল! তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, নিশ্চয় আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি।’ (মুসলিম)

কিভাবে ইস্তেগফার করবেন?

ইস্তেগফার করার বা ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ।

নিম্নে ৫ টি ইস্তেগফার দোয়া আরবি, বাংলা অনুবাদ ও রেফারেন্স সহ উল্লেখ করা হলো

ইস্তেগফার দোয়া-১: সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফার

মূল আরবীঃ

أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

হাদীস: সাওবান (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার ‘‘আস্তাগফিরুল্ল-হ’’ বলতেন, তারপর এ দু‘আ পড়তেনঃ ‘‘আল্ল-হুম্মা আন্‌তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকর-ম’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির আঁধার। তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি। তুমি বারাকাতময় হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত)।[মিশকাত-৯৬১]

ইস্তেগফার দোয়া-২:

মূল আরবীঃ

أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।

হাদীস: আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তওবা করে থাকি। [বুখারী-৬৩০৭]

ইস্তেগফার দোয়া-৩:

মূল আরবীঃ

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণঃ আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।

এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]

ইস্তেগফার দোয়া-৪:

মূল আরবীঃ

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ / الغَفُوْرُ

উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।

অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।

[আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫২]

ইস্তেগফার দোয়া-৫: সাইয়েদুল ইস্তিগফার

সায়্যিদুল ইস্তেগফার সব চেয়ে শ্রেষ্ট ইস্তেগফার এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দুআ। এটি সকাল সন্ধ্যার জিকির।

সাইয়েদুল ইস্তিগফার মূল আরবীঃ

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা

সাইয়েদুল ইস্তেগফার অনুবাদঃ

হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

শ্রেষ্ঠতম ইস্তিগফার আল্লাহর বাণীঃ

وَقَوْلِهِ تَعَالَى: (اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا)، (وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُون

অনুবাদঃ ‘‘আমি বলেছি- ‘তোমরা তোমাদের রবেবর কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। (তোমরা তা করলে) তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদ্বীনালা প্রবাহিত করবেন।।’’ (সূরা নূহ ৭১/১০-১২)

‘‘যারা কোন পাপ কাজ করে ফেললে কিংবা নিজেদের প্রতি যুল্ম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে…..।’’ (সূরা আলে ‘ইমরান ৩/১৩৫)

হাদীস: ৬৩০৬.

শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনে (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ ইসতিগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হবার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (প্রথম ভাগে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ দু‘আ পড়ে নেবে আর সে ভোর হবার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে। [৬৩২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৫৪)

[বুখারী-৬৩০৬]

এই দোয়া গুলো পড়ার মাধ্যমে ইস্তেগফার করুন। তবে সব চেয়ে উত্তম হলো সায়্যিদুল ইস্তেগফার।

ইস্তেগফারের উপকারিতা :

ইস্তেগফারের উপকারিতা অনেক। কোরআন-হাদীসের আলোকে ১০ টি উপকারের কথা নিচে তুলে ধরা হলো।

  1. গোনাহখাতা মাফ হয়। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা নূহ-১০)
  2. অনাবৃষ্টি দূর হবে।আল্লাহতায়ালা বলছেন : তিনি (আল্লাহ) আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। (নূহ-১১)
  3. সন্তান ও সম্পদ লাভ হবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন। (নূহ-১২)
  4. সবুজ-শ্যামল পরিবেশ লাভ হবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যান। (নূহ-১২)
  5. নদ-নদীর ব্যবস্থা হবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমাদের জন্য নদ-নদীর ব্যবস্থা করে দেবেন। (নূহ-১২)
  6. উপভোগ্য জীবন লাভ হবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমরা তোমাদের রবের কাছে গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করো। অতঃপর তাঁর অভিমুখী হও (ভবিষ্যতে গোনাহা না করার এবং আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালন করার দৃঢ় সংকল্প করো)। তিনি তোমাদের নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন। (সূরা হুদ-৩)
  7. শক্তি-সামর্থ্য বাড়বে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তোমাদের শক্তির সাথে বাড়তি আরো শক্তি জোগাবেন। (হুদ-৫২)
  8. আল্লাহর আযাব থেকে নিরাপত্তা দান করবে। আল্লাহতায়ালা বলছেন : তারা ইস্তেগফারে রত থাকাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা তাদের শাস্তি দেবেন না। (আনফাল-৩৩)
  9. সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের হবে। রাসূল (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তা’আলা তার সর্বপ্রকার সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুলে দেবেন।
  10. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-চিন্তা দূর হবে। রাসূল (সা.) বলেন : সর্বপ্রকার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-চিন্তা লাঘব করে স্বস্তি ও আনন্দ দান করবেন। এগারো. অকল্পনীয় রিযিকের ব্যবস্থা হবে। রাসূল (সা.) বলেন :তাকে কল্পনাতীত রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। (আবু দাউদ)

ইসলাম সম্পর্কে আরো জানুন

TAGGED: ইস্তেগফার, তওবা
amarjanala April 7, 2022
Share this Article
Facebook TwitterEmail Print
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Social connect:

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Posts

  • Ddua yunus Bangla – দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম ও উপকারিতা
  • Dua masura এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
  • জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2022
  • Dua yunus bangla – দোয়া ইউনুস এর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সমূহ
  • Tashahhud bangla – তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও আঙ্গুল নাড়ানোর সঠিক নিয়ম

Recent Comments

  • md Naeem Islam on এসিআই লিমিটেড জব সার্কুলার ২০২২

You Might Also Like

Ddua yunus Bangla
দোয়া

Ddua yunus Bangla – দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম ও উপকারিতা

August 4, 2022
Dua masura
দোয়া

Dua masura এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

July 31, 2022
Dua yunus bangla
দোয়া

Dua yunus bangla – দোয়া ইউনুস এর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সমূহ

July 27, 2022
Tashahhud bangla
দোয়া

Tashahhud bangla – তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও আঙ্গুল নাড়ানোর সঠিক নিয়ম

July 22, 2022
আমার জানালাআমার জানালা

© Amar Janala. All Rights Reserved.

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Register Lost your password?